শিলিগুড়ি সেবক রোডের একটি বেসরকারি হোটেলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠক।
১১এপ্রিল,শিলিগুড়িঃ
গতকাল চতুর্থ দফার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের শীতলকুচি তে গুলিতে যে সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটে যে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার জেরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে আজ যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু কমিশনের নিষেধাজ্ঞা করে দিন যেতে পারলেন না আর সেই নি তিনি আজ সেবক রোডে একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানেন আমাকে যেতে দেয়া হবে না পরিবারের কবিতা আছে কিন্তু আমি যা বলি তা করে দেখায়’ তিনি সাংবাদিক বৈঠক থেকে মৃত দুই পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন।আমি নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সব নিয়ম বদলে দিলে তো মেনে নেওয়া যায় না। একটা দলের নির্দেশে সব নিয়ম বদলে যাওয়া ঠিক না বা সংবিধানের গতিপথ নির্বিঘ্ন রাখা বা স্বাধীন রাখা উচিত।
আমাকে শীতলকুচিতে যেতে পর্যন্ত দেওয়া হলো না। আমাকে মানুষগুলোর বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে দেওয়া হলো না।আমি শুধু রাজনীতি করি না। মানুষের বিপদে আপদেও পাশে থাকি।কালিম্পঙ,কার্শিয়াং বা যেখানেই হোক কোনো ঘটনা ঘটলে আমি সেখানেই ছুটে যাই আর আগামী দিনেও যাবো। আজ আমাকে আটকে দেওয়া হলো, আমি আগামী ১৪ তারিখ এসে দেখা করব।
যেহেতু বিজেপির প্রচার ১৩ তারিখ অবধি, সেহেতু আমায় প্রচার করতে দেবে না বলে, আমাকে ঢুকতে দিলো না। আমি আগামী ১৪ তারিখ এসে প্রচারের কাজ শেষ করবো। এবং পরিবারগুলির সাথে দেখা করে আসবো, এইভাবে আমাকে আটকানো যাবে না।
আমাদের ছেলেমেয়েরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা নিজেরা প্রত্যেকে ১০০ টাকা করে দিয়ে একটা ফান্ড তৈরী করবে।ভোটের পরে সেই ফান্ড আর আমার ভোট পরিচালনার যে টাকাতা বাঁচবে সেই টাকাটা আমি ওই পরিবারের হাতে তুলে দেব।এখন সবকিছুতেই তো পারমিশন নিতে হয়।
আজকে আমরা কালোদিন হিসেবে পালন করছি। আমি নিজেও কালো পড়েছি। আমাদের দলের মধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে,প্রতি ব্লকে ব্লকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি চেয়ে মিছিল করা হবে।